সম্প্রতি
জেলার ও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অকৃতকার্যতার
অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের মাথাব্যথার কারন হয়েছে। এই বিষয়ে
সব দায় শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে না চাপিয়ে একটু অন্য ভাবে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি)-র সুপারিশে এরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীনস্ত কলেজগুলিতে
সম্প্রতি এক নতুন ধরণের পাঠক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হয়েছে। ইউজিসি এর একটি
গালভরা নাম দিয়েছে, ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) যার পঠনপাঠন পরিচালিত হবে
সেমিস্টার পদ্ধতিতে এবং সেমিস্টার শেষে পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে কিউমুলেটিভ গ্রেড
পয়েন্ট এভারেজ (সিজিপিএ) এর ভিত্তিতে। ইউজিসি’র মতে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল শিক্ষার্থীরা
তাদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোন বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে। যেমন একজন ইতিহাসের শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে গণিত নিতে পারবে বা একজন
পদার্থবিদ্যার শিক্ষার্থী মনে করলে ইতিহাস বা সাহিত্যের কোর্স নিতে পারবে। ইউজিসি এর
মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্বিভাগীয় চর্চাকে উৎসাহিত করতে চেয়েছে এবং ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করে তোলার লক্ষ্য সামনে রেখেছ। উদ্দেশ্যটি
আপাতদৃষ্টিতে সাধু বলেই মনে হয়। তবে অনেকেই এর মধ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। আশঙ্কার এই যে
এর মাধ্যমে ভারতের শিক্ষার সুবৃহৎ বাজারটিকে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে
উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না তো! বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঐ
ব্যবস্থা ইতিপূর্বেই চালু হয়েছে। ভারতে সরকারী উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু হলে তাদের
এদেশে এসে শিক্ষাব্যবসা শুরু করতে সুবিধা হবে। কে না জানে ভারত এখন যথেষ্ট ব্যবসাবান্ধব
দেশ! ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রতিবেদন অনুযায়ী এবছর ভারতের স্থান বিশ্বে ১০০ তম,
গত বছরে যা ছিল ১৩০।
একথা
সত্যি যে আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা মানচিত্র ভারতের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও
খুঁজে পাওয়া মুসকিল।এমনকি এশিয়ার প্রথম ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বছর ভারতের মাত্র ১৭টি
বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে যার অধিকাংশই আইআইটি’র মত এলিট প্রতিষ্ঠান, ভারতে
উচ্চশিক্ষায় ব্যায়ের সিংহভাগ যাদের জন্য বরাদ্দ। এনিয়ে
সন্দেহের অবকাশ নাই যে ভারতীয় বিশ্ববিবিদ্যালয়গুলির অধোগতির মূল কারন উপযুক্ত পরিকাঠামোর
অভাব, শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের মেধার অভাব কিম্বা শিক্ষাদানের মান নয়। যদি তাই হত
তাহলে ভারতীয় শিক্ষক, গবেষক ও বা শিক্ষার্থীরা বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়
ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আদৃত হতেন না বা গুগল-মাইক্রসফ্টের মত প্রতিষ্টানের
সর্বোচ্চ স্তরে ভারতীয়দের দেখা যেত না।
ইউজিসি
প্রস্তাবিত এই নতুন পাঠক্রমের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল একে বাস্তবায়িত করতে উন্নত পরিকাঠামো
একান্তভাবে জরুরী। কমিশন তার
প্রস্তাবে সেকথা স্বীকারও করেছে। কলেজগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে ইউজিসি কি আদৌ
যত্নশীল? উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রিয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ কি আদৌ বেড়েছে? তা না করে এই
নতুন পাঠক্রমেকে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া কি তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা
নয়? গোটা বিষয়টি যে কতটা হাস্যকর তা কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে।
এই
পাঠক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা থাকবে নিজেদের পছন্দমত বিষয় নির্বাচনের।
কিন্তু সমস্যা হল সব কলেজে সব বিষয়ে পঠনপাঠনের সুযোগ নাও থাকতে পারে। বড় কলেজে
ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সামনে যতগুলি পছন্দ থাকবে ছোট কলেজে ভর্তি হলে সেই পছন্দ
যে সংকুচিত হবে তা বলাই বাহুল্য। এমনকি বড় কলেজগুলিও শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয়
দিতে অক্ষম পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে। ছোট কলেজগুলির অবস্থা আরও করুণ। কারন সেখানে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক একটি বিভাগ চলে হয় এক-দু জন
মাত্র স্থায়ী শিক্ষক নিয়ে, কখনও বা স্থায়ী শিক্ষক ছাড়া আংশিক সময়ের শিক্ষক বা
অতিথি শিক্ষক নিয়ে। এই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র প্রচলিত। ফলে ছাত্রদের
পছন্দ মত বিষয় নির্বাচন কাগজে কলমেই আছে
বা থাকবে যদি না পর্যাপ্ত শিক্ষক নিযুক্ত করা যায় কলেজগুলিতে। অদূর ভবিষ্যতে
কলেজগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে অতি আশাবাদীরাও তা মনে করেননা।
ধরে নেওয়া
যাক একজন শিক্ষার্থী একটি তথাকথিত বড় কলেজে ভর্তি হল এবং সে তার পছন্দ মত বিষয়
নির্বাচন করল। কলেজের প্রাথমিক দায়িত্ব হল তার পছন্দ করা বিষয় অনুযায়ী রুটিনে
ক্লাস দেওয়া, এমন ভাবে যাতে সে তার অন্য ক্লাসগুলিও করতে পারে নির্বিঘ্নে। এই
কাজটি যে কি মারাত্মক তা ভুক্তভুগীরা ভালোই জানেন। কারন রুটিনে ক্লাস দেবার
পাশাপাশি সেই ক্লাসের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণীকক্ষ নির্ধারণ করাও দরকার। কিন্তু জেলার
বা রাজ্যের যে কোন বড় কলেজের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষের অভাব। ফলে
পছন্দ মত বিষয় নিয়ে পড়ার স্বাধীনতা খর্ব হতে বাধ্য। কার্যতঃ দুধরনের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পাঠক্রম সাফল হতে পারে---যে প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো অসীম
অথবা দূরশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে
এই ধরনের পাঠক্রম দীর্ঘদিন আগেই চালু হয়েছে এবং তা সাফল্যের সঙ্গে চলছে। কারন সেখানে পরিকাঠামোগত
সীমাবদ্ধতার প্রশ্ন নাই।
ইউজিসি
প্রস্তাবিত এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গৃহীত পাঠক্রমে দুধরণের ডিগ্রী
প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে আন্ডার
গ্রাজুয়েট স্তরে, অনার্স অথবা প্রোগ্রাম। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ ও প্রয়োজন মত
ডিগ্রী নিতে পারে। তবে পাঠক্রমের মাঝে শিক্ষার্থী যদি মনে করে যে সে অনার্স নয়
প্রোগ্রামে যাবে বা উল্টোটা করবে, তার পথ এই পাঠক্রমে খোলা নাই বললেই
চলে। অথবা কিছুদিন পড়ার পর তার মনে হল যে ইতিহাস অনার্স তার জন্য নয়, বরং বাংলা
বা সংস্কৃত তার পক্ষে উপযুক্ত হবে, সেক্ষেত্রেও তার হাত পা কার্যতঃ বাঁধা। যে কোন শিক্ষার্থীর
এমনটা মনে হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেমিস্টার একবার শুরু হয়ে গেলে
অনার্স পরিবর্তন করা শক্ত। আগের ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ থাকত। কারন তখন
সেমিস্টারের তাড়া থাকত না এবং শিক্ষার্থীও নিজেকে সামলে নেবার সুযোগ পেত। অনার্স ও
প্রোগ্রামের সিলেবাস আলাদা করার যৌক্তিকতাও বোধগম্য হয়না।
এই পাঠক্রম
চালু করার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও যথেষ্ট প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রাজ্যের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সেই পথে না হেঁটে কে কত আগে এই পাঠক্রম চালু করতে পারে সে নিয়ে
এক হাস্যকর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল। সদ্য
প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উৎসাহ ছিল এক্ষেত্রে চোখে পড়ার মত যাদের এই
কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো বা পারদর্শিতা কোনটাই এখনও গড়ে ওঠেনি
যা বলার অপেক্ষা রাখে না। সিলেবাস তৈরী না করেই অনেক ক্ষেত্রে এই
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সিবিসিএস চালু করে দেয়। সিলেবাস না থাকায় সেমিস্টার শুরু করতেই
মাস দুয়েক কেটে যায়। তাড়াতাড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় যে সিলেবাস তৈরী করল তা
ত্রুটিপূর্ণ এবং অবাস্তব। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন এবং সুবিধা আসুবিধার দিকে তাকিয়ে যে
সেই সিলেবাস তৈরী হয়নি তা পরিষ্কার। যে বিষয়গুলি কখনও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে
পড়ানো হয়নি সেই বিষয়গুলিকে সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা হয় যার উপযোগী বইপত্র ছাত্র
কিম্বা শিক্ষকদের কাছে সহজসভ্য নয়। নতুন সিলেবাস পড়াতে গেলে শিক্ষকদের যে
প্রস্তুতির সময় প্রয়োজন ছিল তাও মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাড়াতে। বেশকিছু বিষয়ে
বাংলা ভাষায় কোন বই নাই। অথচ কলেজ স্তরে রাজ্যের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই যে বাংলা
মাধ্যমে পড়াশোনা করে এটা সিলেবাস তৈরীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের না জানার কথা
নয়।
পাঠক্রমটি
ও তার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থী মহলে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টাও অভাব আছে।
ফলে এনিয়ে শিক্ষার্থী, এমনকি অধ্যাপক মহলেও যথেষ্ট সংশয় আছে। শিক্ষার্থীদের অস্বাভাবিক হারে
অকৃতকার্যতা বৃদ্ধির অন্যতম কারন এটাই। এই ব্যবস্থায় কোন একটি কোর্সে যদি শিক্ষার্থী
৪০% র কম নম্বর পায় তাহলে সে কোন গ্রেড পয়েন্ট পাবে না এবং লেটার গ্রেড হিসাবে
‘এফ’ পাবে। সেক্ষেত্রে সেই শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য ধরা হবে। ‘এফ’ পাওয়া সেই কোর্স ‘কোর
কোর্স’ হতে পারে বা ‘এবিলিটি এনহান্সমেন্ট কম্পালসারি কোর্স’ (এইসিসি)ও হতে পারে। পরীক্ষায়
এই কোর্সগুলিও যে ‘কোর কোর্সের’ মতই সমান গুরুত্বপূর্ণ, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেই
সচেতনতা তৈরী করা যায়নি যার প্রভাব পড়েছে তাদের মূল্যায়নে। তাই পাঠক্রমটি চালু
করার আগে সর্বস্তরে এনিয়ে সচেতনতা তৈরী করা জরুরী ছিল যা করা হয়নি।
এই
পাঠক্রমটি সেমিস্টার ভিত্তিক যা পূর্ববর্তী বার্ষিক মূল্যায়ন থেকে আলাদা। কাগজে
কলমে ছয় মাস ব্যাপী সেমিস্টারের পর পরীক্ষা। কিন্তু বাস্তবে ঐ সীমিত সময়ের মধ্যে সিলেবাস
শেষ করার সময় থাকে না। গোটা ব্যাপারটাই টি-টোয়েন্টি সুলভ তান্ডবলীলায় পরিণত হয়।
ছাত্রছাত্রী বা অধ্যাপক কারুর হাতেই সেট হবার সময় নাই। সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেড়িয়ে
কলেজের মুক্ত পরিবেশে এসে তার সঙ্গে মানিয়ে
নেবার কিছুটা সময় কি এদের প্রাপ্য নয়? সেমিস্টার পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত
উপস্থিতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়ে থাকে। ন্যূনতম ৭৫% উপস্থিতি ছাড়া সচরাচর
পরীক্ষায় বসার অনুমতি মেলে না। শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের এটা একটা বড় কারন যা নিয়ে
কলকাতার কয়েকটি কলেজে তো রীতিমত অশান্তি হয়েছে।
সেমিস্টার
ভিত্তিক সি বি সি এস পাঠক্রমের তাৎক্ষণিক অসুবিধাগুলির থেকেও গভীরতর সমস্যাটি হল
এই ধরণের পঠনপাঠনে শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কারুরই হাঁফ ফেলার সময় মেলে না। কোন রকমে
সিলেবাস শেষ করাই যেন শিক্ষার মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। পাঠক্রমটিকে আত্মস্থ করা বা
সেনিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কোন অবকাশ পায় না শিক্ষার্থীরা। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যে কেবলমাত্র তথ্য
সরবরাহের জায়গা নয়, শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখার জায়গা তা আমরা ভুলতে বসেছি।
শুধুমাত্র তথ্যের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার প্রয়োজন আজ ফুরিয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে তথ্য আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে সহজলভ্য।
তাই ভারতে
উচ্চশিক্ষার মনোন্নয়নের জন্য এই ধরনের আধা-খামচা উদ্যোগে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।
ইউজিসি যদি সত্যি করেই উচ্চশিক্ষার মনোন্নয়নের জন্য চিন্তিত হয় তাহলে সর্বাগ্রে
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিক।পাঠক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন
ভাবে গড়ে তোলা হোক যাতে শিক্ষার্থীরা পঠনপাঠনকে উপভোগ করতে পারে এবং নতুন কিছু
ভাবতে শেখে। তাদের পিছনে সেমিস্টারের পাগলা কুকুর লেলিয়ে দিয়ে আখেরে লাভ কিছু হবে
না। কলেজ জীবনে যেমন পড়াশোনা থাকবে, তেমনি রাজনীতি, আড্ডা, বিতর্ক, প্রেমও থাকবে
যেগুলি তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।